আমরা চেঞ্জ মেকার পার্টি (সিএমপি)
চেঞ্জ মেকার পার্টি (সিএমপি) একটি দুর্নীতিবিরোধী, মধ্য-বামপন্থী, পূর্ণ গণতন্ত্র প্রত্যাশী রাজনৈতিক সংগঠন।

Change Maker Party (CMP), Bangladesh
- We want to get 50,000 supporters for our political party.
- We want to recruit 500+ volunteers, each tasked with mobilizing 100 supporters for our party.
- We offer volunteer roles to students and partnership with progressive student union.
- We want to build People-First Campaign and Grassroots Mobilization.
- We will do Door-to-Door Canvassing to each of 12 crores voters and will train our 50,000 supporters and volunteers to visit their homes, we will engage students and women’s groups so that we can build a strong volunteer base.
- We will run a nationwide “Clean Politics Pledge” with a goal of 50,000 signatures.
- We want to reach our 12 crore Bangladeshi voters. We need your financial and voluntary support.
আমরা চেঞ্জ মেকার পার্টি (সিএমপি), বাংলাদেশ।
চেঞ্জ মেকার পার্টি (সিএমপি), বাংলাদেশ একটি দুর্নীতিবিরোধী, মধ্য-বামপন্থী, প্রগতিশীল, উদারপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন যারা রাজনৈতিক সহিংসতামুক্ত পূর্ণ গণতন্ত্রের (Full Democracy) বাংলাদেশ প্রত্যাশী এবং ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই অর্থে যে ইসলাম প্রকৃতই শান্তির ধর্ম, এবং ইসলামপন্থীরা বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক হবেনা (যেমন ভোটের অধিকার, বাক স্বাধীনতা, ব্যাক্তি স্বাধীনতা, ভিন্নমতে সহনশীলতা, বৈচিত্রময় এবং বহুত্ব-ভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ইত্যাদি)।
আমরা কোন অর্থে বামপন্থী? আমরা ক্লাসিক্যাল অর্থে বামপন্থী। আমরা আধুনিক ধারার বামপন্থী নই।
আমরা বামপন্থী এই অর্থে যে আমরা ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজির মাফিয়া সিস্টেমকে পরিবর্তনের পক্ষে, এবং আমরা আইনের শাসন ও জনগণের ক্ষমতায়নের পক্ষে, আমরা পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি বাতিলের পক্ষে, আমরা রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত – আমলা মিলিটারি- ব্যবসায়ী এই ত্রয়ী মাফিয়াশক্তির ঘুষ, দুর্নীতির বিপরীতে জনগণের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার নতুন সিস্টেমের পক্ষে। আমরা একটি স্বচ্ছ, উন্মুক্ত, গনতান্ত্রিক সিস্টেমের পক্ষে যেখানে রাজনীতিবিদ, সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে একটি জবাবদিহিতার মধ্যে আনা যাবে, যেখানে দুর্নীতি করা অসম্ভব হয়ে উঠবে।
আমরা একটি দুর্নীতিবিরোধী মধ্য-বামপন্থী দল। মধ্যবামপন্থী দল হিসেবে আমরা এমন ব্যাক্তিদের সদস্য হিসেবে আমাদের দলে আশা করি যারা এদেশের প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার যেমনঃ ব্যাক্তি স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন, যারা ভিন্নমতে সহিষ্ণুতা ধারণ করেন এবং যারা এদেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা এবং মর্যাদার সাথে জীবিকা নির্বাহের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবেন।
আমাদের চেঞ্জ মেকার পার্টির সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে এটি বাংলাদেশের মানুষদের মানুষদের আকাঙ্ক্ষার ভিতর থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উঠে আসা একটি দল। অর্থাৎ এমন না যে এটি কোন বিদেশি রাষ্ট্রের প্ররোচনায়, বা গোয়েন্দা সংস্থার কারসাজির ফলে সৃষ্ট কোন দল। আপনি নিশ্চিত থাকুন। চেঞ্জ মেকার পার্টি (সিএমপি) একটি নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল। সরকার গঠন করতে কেবলমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের সমর্থন অর্জন ছাড়া আর কোন দুই নম্বরি পথ আমাদের জানা নেই। মানুষ যদি সমর্থন দেয় আমরা সরকার গঠন করতে পারব। না দিলে পারবনা।
সরকার গঠন করতে পারলে মানুষের সেবা করা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য আমাদের নাই। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই এটাই চেঞ্জ মেকার পার্টির লক্ষ্য।
আমরা কোন সহিংস পথে যাবনা। আমরা অহিংস পদ্ধতির আন্দোলনে বিশ্বাসী। সহিংসতার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা থাকলে আমরা সেটি এড়িয়ে যাব।
তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের ব্যাপারে আমাদের দলীয় অবস্থানঃ
১। আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি আমাদের দলে তৃণমূল পর্যায়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে।
২। আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি মাঠ পর্যায়ে থাকা ত্যাগী নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে সকল দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে।
৩। আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণের ক্ষেত্রে ত্যাগী নেতা কর্মীদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
৪। আমাদের দলে মাঠ পর্যায়ে থাকা ত্যাগী নেতাকর্মীদের পাশ কাটিয়ে বহিরাগত কেউ হঠাৎ করে এসে গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবী টাকা দিয়ে বাগিয়ে নেয়ার সুযোগ পারবেনা। আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি।
আমাদের প্রথম কথাই হচ্ছে আমাদের দলের প্রত্যেকেই
১. একই রকম মানসিকতার একই চিন্তাভাবনার বা সমমনা হতে হবে,
২. সহনশীল হতে হবে, আইন মেনে চলার মানসিকতা থাকতে হবে।
৩. ভিন্নমতে সহিষ্ণুতা– পরমতসহিষ্ণু অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী মানুষ হতে হবে।
এই ৩টা জায়গায় ঠিক না থাকলে, আমরা একমত না হতে পারলে এই দলের সাথে আপনি এডজাস্ট করতে পারবেন না, সেক্ষেত্রে আপনি দলে না আসলেই ভালো হবে।
আমার দলের টপ টু বট্ম একইরকম সমমনা হলে- সভ্য, শিক্ষিত, সৎ, দেশপ্রেমিক, সুশৃংখল হলে এই দল অবশ্যই নির্বাচনে জয়লাভ করবে।
আপনি ইচ্ছা করলে শুধু সমর্থক হিসেবেও থাকতে পারেন।
কিন্তু সক্রিয় সদস্য হিসেবে দলে দলে যোগদানের আগে আমাদের রাজনৈতিক আদর্শিক অবস্থান গুলো পড়ুন, আগে দেখুন আপনি প্রত্যেকটি আদর্শিক অবস্থানের দফাগুলোর সাথে একমত কিনা, তারপরে সিদ্ধান্ত নিনঃ
আমাদের আদর্শ এবং এজেন্ডা হচ্ছেঃ
আমাদের আদর্শ এবং রাজনৈতিক এজেন্ডা হচ্ছেঃ
১। যুক্তি ও জ্ঞান-ভিত্তিক একটি প্রগ্রেসিভ সমাজ বিনির্মাণ এবং দেশপ্রেমিক, উচ্চ নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক সমাজ গঠন করা,
২। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ যেখানে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনকালে কোন দায়িত্বশীল ব্যাক্তি দুর্নীতি করার সুযোগ পাবেনা এবং,
৩। সহিংসতা এবং সন্ত্রাসমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ বিনির্মাণ যেখানে নানা কারনে প্রান্তিক হয়ে যাওয়া এবং শান্তিপ্রিয় ভদ্রলোকদেরও রাজনীতিতে এক্সেস থাকবে।
আমাদের স্লোগানঃ
সমৃদ্ধি প্রগতি মর্যাদা
আমরা সবাই এগিয়ে যাব একসাথে
আমরা সবাই ধনী হবো একসাথে
আমাদের সবার সম্মান বাড়বে একসাথে
একাত্তরের যুক্তি গরীবের মুক্তি
আমাদের রাজনৈতিক আদর্শিক অবস্থানের ১৩ দফাঃ
১ নম্বর দফাঃ জনগনকে দেয়া ওয়াদা নির্বাচনী পূরণ করতে ব্যার্থ হলে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের মানসিকতা থাকতে হবে। মনে রাখবেন এই দল যারা প্রতিষ্ঠা করছে তারা জনগনের নিকট প্রদেয় প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার থেকে, জনগণের বিশ্বাসের অমর্যাদা করার থেকে পদত্যাগকে শ্রেয়তর মনে করে। আমরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে পদত্যাগের সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী।
২ নম্বর দফাঃ এই দল কেন গঠন করা হয়েছে?
চেঞ্জ মেকার পার্টি (সিএমপি) একটি পূর্ণ গণতন্ত্রের (Full Democracy) বাংলাদেশ প্রত্যাশী। টাকার বিনিময়ে দল করবে এমন মানুষদের জন্য আমাদের দল না। আমরা কোন টিপিক্যাল টাকা কামানোর রাজনৈতিক দল নই। এই দল গঠন করা হয়েছে নির্বাচনের আগে এবং পরে বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাসেবার জন্য এবং নির্বাচনে বিজয় লাভের পরে মানবসেবা এবং দেশের সেবা জন্য।
আমরা চেঞ্জ মেকার পার্টি (সিএমপি) দুর্নীতিবিরোধী, উদারপন্থী, প্রগতিশীল, পূর্ণ গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি রাজনৈতিক দল।
সততা, মানবসেবা আর দেশপ্রেম এই ৩টা গুন আছে এমন সকল বাংলাদেশীদের আহ্বান জানাচ্ছি আমাদের দলে।
আমাদের দলের প্রধান বৈশিষ্ট হলোঃ
১। প্রতিটি ভোটারের অন্তত একটি ব্যাক্তিগত সমস্যার সমাধান করা।
এবং,
২। দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান।
১। আমরা আগামী ডিসেম্বরের আগেই ১২ কোটি ৪০ লক্ষ ভোটারের সাথে একবার হলেও কথা বলতে চাই। তাদের ব্যাক্তিগত সমস্যাগুলো আমাদের নোটবুকে রেকর্ড করে রাখতে চাই যেন নির্বাচনে জয়লাভের পরে আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি। কেউ এটিকে অদ্ভুত অসম্ভব বলবেন, কেউ বলবেন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ নির্বাচনী ক্যাম্পেইন যেটি আগে কেউ করেনি ইত্যাদি। কিন্তু এটি আমরা করতে চাই জনগণের স্বার্থে।
আমরা শুধু তাদের ব্যাক্তিগত সমস্যাই লিপিবদ্ধ করবনা। আমরা ১২ কোটি ৪০ লক্ষ ভোটারকে সচেতন করতে চাই। একবার হলেও তাদেরকে বলতে চাই যে নিজের ভোটটা বিক্রি করবেন না। ভোট বিক্রি করা মানে দেশকে বিক্রি করা, গনতন্ত্রকে বিক্রি করা, স্বাধীনতাকে বিক্রি করা। তাই কারও ভয়ভীতি, টাকা পয়সার লোভ বা চাপের কাছে নতি স্বীকার করে দেশকে বিক্রি করবেন না।
২। আমরা আসলেই দুর্নীতিবিরোধী কিনা সেটি জনগণের নিকট বিশ্বাসযোগ্য করতে হলে আমাদের সকল এমপি প্রার্থীদের নিজেদের ব্যাক্তিগত সম্পত্তির তথ্য এবং ব্যাংক স্টেটমেন্ট এ লেনদেনের হিসাব সবকিছু জনগণের নিকট উন্মুক্ত করার মানসিকতা থাকতে হবে।
আমাদের এমপি সাহেবের বাড়িতে কালোটাকা আছে কিনা কোন নাগরিক যদি আকস্মিক পরিদর্শনের মাধ্যমে সেটি যাচাই করতে চায় নির্বাচনে জয়লাভের পরে সেটির যাচাইয়ের জন্য নাগরিককে এমপির বাড়িতে অবাধে আকস্মিক পরিদর্শন করার প্রতিশ্রতি এবং সুযোগ দেয়া হবে।
৩ নম্বর দফাঃ কারা আমাদের দলের সদস্য হবার জন্য জন্য উপযুক্ত?
৩ এর ক) কোন অবস্থাতেই দুর্নীতি সন্ত্রাস সহিংসতায় জড়িত হওয়া যাবেনা। পাশাপাশি আমাদের দলের পক্ষে নির্বাচনে প্রার্থী হলে আপনি যে সৎ, দেশপ্রেমিক সেটি প্রমানের জন্য আপনার নিজের, স্ত্রী, সন্তানদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য, আপনার ও পরিবারের সম্পত্তির তথ্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। এবং নির্বাচিত হবার পরেও এগুলো জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। আপনি নির্বাচিত হবার কোন নাগরিক আপনার কাছে দুর্নীতির অর্থ আছে কিনা সেটি যাচাইয়ে উদ্দেশ্যে আপনার উপস্থিতিতে আপনার বাড়িতে যদি আকস্মিক পরিদর্শন বা সারপ্রাইজ অডিট করত চায় আপনাকে তাকে সেই সুযোগ দিতে হবে।
৩ এর খ) যারা ভিন্নমতে সহিষ্ণু মানুষ, যারা আইন মেনে চলতে চান, যারা বিনা পারিশ্রমিকে নিঃস্বার্থভাবে অন্তত কিছু বছর দেশের জন্য কাজ করতে চান, যারা গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হয়ে দেশকে প্রগতি এবং উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, যারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েও দুর্নীতিবিরোধী থাকবেন, নির্বাচনী ওয়াদা পুরনে মরিয়া চেষ্টা করবেন এই দল তাদের জন্য।
৪ নং দফাঃ আমাদের দলের সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে “সমমনা” হতে হবে।
কেন সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে “সমমনা” হতে হবে?
আমাদের দলের জন্ম থেকেই প্রতিটি কর্মী হবেন দুর্নীতিবিরোধী, সুশিক্ষিত, মেধাবী, সৎ, দেশপ্রেমিক, উচ্চ মূল্যবোধ সম্পন্ন। এমন ১ লক্ষ স্বপ্নবাজ, সোনার টুকরো মানুষ দিয়ে এই দল গঠিত হলে, আমরা যদি শুরু থেকেই রুট লেভেল থেকে ১ লক্ষ স্বপ্নবাজ, সভ্য, শিক্ষিত, সৎ, দেশপ্রেমিক, সুশৃংখল ব্যাক্তিদের নিয়ে এই দল গঠন করতে পারি এই দল কখনো বেকায়দায় পড়বেনা। আমার দলের টপ টু বট্ম একইরকম সমমনা হলে- দুর্নীতি বিরোধী, সভ্য, শিক্ষিত, সৎ, দেশপ্রেমিক, সুশৃংখল হলে এই দল অবশ্যই নির্বাচনে জয়লাভ করবে।
৫ নং দফাঃ গণতন্ত্র, ভারত- পাকিস্তান, বাংলাদেশি হিন্দু, ইসলাম, ভিন্নমত, বাঙালি সংস্কৃতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের মতো রাজনৈতিক মেরুকরণের ইস্যুগুলোতে আমাদের অবস্থান কি?
এসকল ইস্যুতে আমরা রাজনৈতিক মেরুকরণের বিরুদ্ধে। আমরা মনে রাজনৈতিক মেরুকরণ একটি অপরাজনীতি। আমরা অপরাজনীতির বিপক্ষে, জনস্বার্থে ভালো রাজনীতির পক্ষে।
আমরা ইসলামকে শান্তির ধর্ম হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাই, সারা বিশ্বে ইসলামকে গ্রহনযোগ্য করতে চাই। আমরা ইসলামের বন্ধু।
আমাদের দলে ইসলামী মূল্যবোধ সম্পন্ন সৎ নামাজি মানুষদের স্বাগত জানানো হবে, উদারপন্থী আলেম সমাজকে আমাদের দলে স্বাগতম। পাশাপাশি হিন্দু-মুসলিম, নির্বিশেষে সকল ভিন্নমতাবলম্বী, অসাম্প্রদায়িক চেতনার এবং উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী মানুষ, বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এমন মানুষদেরকেও এই দলে সম্মানিত করা হবে। আমরা বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, কারন আমরা বাংলাদেশপন্থী। মুক্তিযুদ্ধই আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন।
আমরা ভারতপন্থী নই, আমরা পাকিস্তানপন্থী নই। আমরা বাংলাদেশপন্থী। আমরা RAW, আইএসআই, সিআইএসহ বৈশ্বিক যেসকল সাম্রাজ্যবাদী শক্তি অতীতে গণতন্ত্র, নির্বাচনসহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে তাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি মনে করি এবং হিন্দুত্ববাদ, একদলীয় কমিউনিস্ট শাসন, সেনাশাসন, একক ইসলামি রাষ্ট্রের খেলাফত প্রতিষ্ঠাসহ সকল ধর্মভিত্তিক এবং অগণতান্ত্রিক শাসনকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখন্ডতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মনে করি। আপনি যদি আইএসআই, সিআইএ বা RAW এর এজেন্ট হোন বা হিন্দুত্ববাদী হোন তাহলে আমাদের দল আপনার জন্য নয়। তবে হা যদি দেশসেবার সুযোগ হয় বাংলাদেশে বসবাসরত প্রতিটি হিন্দুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়, হিন্দুদের জানমালের নিরাপত্তায় এবং বেদখল জমি উদ্ধারে আমাদের সবার আগে পাবেন।
আমরা ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল। এদেশের মানুষের ধর্মীয় আবেগকে আমরা পূর্ণ সম্মান করি, আমরা ইসলাম ধর্ম নিয়ে একটি টু শব্দও করবনা কিন্তু আমরা ধর্মকে ব্যবহার করে মেরুকরণের রাজনীতিকে সমর্থন করিনা কারন এতে ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতিতে মেরুকরণ করলে সকল দলের জন্য সমান লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হয়ে যায়। এবং আমরা ধর্মকে ব্যবহার কোন একনায়কতান্ত্রিক শাসন বা একদলীয় শাসনের বা যেকোন অগণতান্ত্রিক শাসনের বিপক্ষে। আপনি নামাজি হোন, হিজাবি হোন, আপনি ইমাম হোন, আলেম হোন আমাদের দলে স্বাগতম কিন্তু আপনাকে অবশ্যই আমাদের গণতান্ত্রিক মুল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। যেমন ধরুন আমরা আমাদের সংগঠনের নারীদের হিজাব পড়তে অনুরোধ করতে পারব, পুরুষদের নামাজের জন্য অনুরোধ করতে পারব, আলোচনার সময় আজান হলে আলোচনা বন্ধ রাখতে পারব, নামাজের জন্য ব্রেক দিব কিন্তু কেউ হিজাব পড়বেন কিনা, বা কেউ নামাজে অংশ নিবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবার স্বাধীনতা একান্তই সেই নারীর বা পুরুষের। কারন এটা তার ব্যাক্তি স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়, আমরা প্রতিটি গণতান্ত্রিক মুল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা প্রত্যাশা করি ইসলাম যদি গনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে তাহলে সেই ইসলামকে গনতন্ত্র কুর্নিশ করবে। আমাদের সংগঠনের কোন ড্রেস কোড নেই বা ধর্মীয় কোন নিয়ম কানুন পালনের কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
আমরা প্রত্যাশা করি যে সম্মানিত আলেম সমাজ দাওয়াতি কার্যক্রম এবং ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে ধর্মকে সীমাবদ্ধ রাখবেন যেটি শত শত বছর ধরে এদেশে প্রচলিত রয়েছে এবং তারা কট্টরপন্থী ইসলামী খিলাফতের বিরুদ্ধে থাকবেন।
আমরা একটি মর্যাদাবান, আধুনিক, প্রগতিশীল, ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয় এমন আলোকিত বাঙ্গালী মুসলমান জনগোষ্ঠী তৈরি করতে চাই যারা বিশ্বব্যাপী সম্মানিত হবে এবং বিজ্ঞান, অর্থনীতি, শিল্প, সাহিত্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রে সারা পৃথিবীতে নেতৃত্ব দিবে। সিএমপি সরকার গঠন করলে কেমলমাত্র জনগণের ক্ষমতায়ন এবং আইনের শাসনই প্রতিষ্ঠা করবে না। কেমলমাত্র রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উন্নতির মধ্যেই দেশকে সীমাবদ্ধ রাখবেনা না। ক্রীড়া, শিল্প সাহিত্য, সিনেমা, গান, চলচিত্র সর্বক্ষেত্রে বাংলাদেশকে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে। এটি আমাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা। বাঙ্গালি মুসলমানদের নেতৃত্ব দেশ এগিয়ে যাক সেটি আমরাও চাই। কিন্তু আমরা এটিও চাই যে মুসলমানরা ধর্মীয় গোড়ামি বাদ দিয়ে প্রগতিশীল হোক। মুসলমানরা জ্ঞান, বিজ্ঞান, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য, চলচিত্র, সঙ্গীতসহ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাক। আমরা চাই বাঙ্গালি মুসলমানরা সেই যোগ্যতা অর্জন করুক। আমরা সরকার গঠন করলে যে মহান উদ্দেশ্যে ইউরোপে “Age of Enlightenment” এর সুচনা হয়েছিল সেই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশি মুসলমান এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য, বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সমাজ ও মানুষের জন্য উপযোগী “আলোকিত যুগ” সৃষ্টির প্রকল্প গ্রহন করা। এনলাইটমেন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে বিশ্বমানের বিজ্ঞানী, গবেষক, দার্শনিক, উদ্যোক্তা (Entrepreneur), রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক, অধিকার কর্মী, চিন্তক, তাত্বিক, লেখক, সাহিত্যিক, চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব তৈরিতে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ করা।
সিএমপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয় সিএমপি একটি নেশন বিল্ডার, একটি ভিসনারি দল।
যেহেতু আমরা বাংলাদেশপন্থী, যেহেতু পাকিস্তান অর্থনৈতিকভাবে আমাদের শোষণ করেছিল, যেহেতু বাঙালির ভাষিক, সাংস্কৃতিক অধিকারকে পাকিস্তান দমনের চেষ্টা করেছে, যেহেতু ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিরা লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশিদের হত্যা করেছে তাই পাকিস্তান সৃষ্টির আন্দোলন বা পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের ইতিহাস (যেটিকে আমরা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন বলে জানি) আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। যেহেতু আমরা বাংলাদেশপন্থী আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ সৃষ্টির আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ। যে ভাষায় আমরা কথা বলি সেই ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি, সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর- ২৪ বছরের বাঙালির আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের লড়াই, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের সকল বীরদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা। একাত্তর থেকে চব্বিশসহ এদেশের সকল মানুষ যারা স্বাধীনতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য জীবন দান করেছেন তাদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল আমরা।
বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ বলতে আমরা বুঝি দেশপ্রেম, বাংলাদেশি নাগরিকদের উন্নতি, প্রগতি এবং মানবসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করা। দুর্নীতি না করা। আমরা মনে করি একজন প্রকৃত বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী কখনো দুর্নীতি করতে পারেনা। প্রকৃত বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে আমরা সমর্থন করি। আমরা প্রকৃত বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী কারন আমরা বিশ্বাস করি একজন প্রকৃত বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী জনগণের ট্যাক্সের টাকা চুরি করেনা।
বাঙ্গালী মুসলমান জাতীয়তাবাদকে আমরা হৃদয়ের ধারন করতে চাই, সংবিধানে নয়। আমরা চাই বাংলাদেশের মুসলমানদের নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও গবেষনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উন্নত, প্রগ্রেসিভ, মর্যাদাবান জাতি হিসেবে এগিয়ে যাক। বাংলাদেশী মুসলমানদের নেতৃত্বে বাংলাদেশীদের একটি সাংস্কৃতিক জাগরণ আমরা দেখতে চাই যেটি সারা বিশ্বে বাঙ্গালী মুসলমানের/সকল বাংলাদেশীদের এম্বাসেডর হবে, আমাদের গর্বের কারন হবে, আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হবে।
৬ নং দফাঃ আমাদের দলের ভিসন /উদ্দেশ্য কি?
আমাদের দল সকল মতের স্বপ্নবাজ মানুষদের মিলনমেলা হবে যাদের একটাই মিশন একটাই ভিসন সেটি হলো দেশকে বদলাতে মানবসেবাকে বেছে নেওয়া- সহিংসতা, দুর্বৃত্তায়নমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা, জনগনের ক্ষমতায়ন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, সকল নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা পুরনে মাঠে নেমে পড়া, দেশপ্রেমিক উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষে প্রয়োজনীয় অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করতে নির্বাচনে দাড়ানো, মেহনতি জনগণ ও লক্ষ বেকারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য একজন রাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করা, এবং নির্বাচনে জয়লাভ করে জনগণকে দেয়া ওয়াদা পূরণে মরিয়া হয়ে কাজ করা। আমরা মনে করি এই দেশকে বদলাতে কাউকে না কাউকে নিজেকে উৎসর্গ করতেই হবে, কাউকে না কাউকে এই মহান দায়িত্বটি নিতেই হবে।
গণতন্ত্রের জন্য আবেগপ্রবণ মানুষ তৈরি করতে হবে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠায় আমাদের চাই গণতন্ত্রের জন্য আবেগ। সেই আবেগ যখন ধর্মের প্রতি আবেগের থেকে শক্তিশালী হবে, সেই আবেগ যখন মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আবেগের থেকে শক্তিশালী হবে কেবল তখনই গনতন্ত্র নামের মা রক্ষা পাবে। গণতন্ত্র মানেই স্বাধীনতা। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম মানেই মুক্তিযুদ্ধ। ভোটের অধিকার কে হারানো মানে মাকে হারানো, স্বাধীনতাকে হারানো। ভোট বিক্রি মানে মাকে বিক্রি করা।
চেঞ্জ মেকার পার্টি গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী আবেগ সৃষ্টিতে, জনগণের মাঝে গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করাতে ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি গ্রহণ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
৭ নং দফাঃ আমাদের দলের মূলনীতি কি?
আমাদের মূলনীতি হচ্ছে জনগনের ক্ষমতায়ন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা। আমরা জনগণের ক্ষমতায়ন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার গ্যারান্টি দিচ্ছি।
দুর্বৃত্তায়নমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করার পাশাপাশি আমাদের প্রথম অর্থনৈতিক এজেন্ডা হচ্ছে দেশপ্রেমিক, শ্রমিকবান্ধব উদ্যোক্তা তৈরি করা। লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উদ্যোগ গ্রহন করা।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সকল নাগরিকদের প্রধান প্রধান মৌলিক চাহিদা পূরন করাই হবে আমাদের সর্বপ্রথম কাজ। শহরে কিংবা গ্রামে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ডিজিটাল ব্যবস্থায় সকল শিশুর জন্য দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত একই মানের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে, সকল নাগরিকদের তিন বেলা পুষ্টিকর খাবার, উন্নত পাকা বাড়ি, প্রতিটি গ্রাম এবং মহল্লায় পাকা রাস্তায় চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে। অর্থের অভাবে কাউকে যেন চিকিৎসাহীন অবস্থায় থাকতে না হয়, কেউ যেন ভুল চিকিৎসার স্বীকার না হয় সেটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করা হবে এবং একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়নের গ্যারান্টি দেয়া হবে। প্রকৃত গরীব, অভাবী, সামর্থ্যহীন মানুষদের ডিজিটাল ব্যবস্থায় একটি সঠিক ডাটাবেইজ গঠন করে তাদের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে স্বল্প খরচে গরমকাল এবং শীতকালে উপযোগী কয়েক সেট পোশাক প্রতি বছর সরবরাহ করা হবে।
চেঞ্জ মেকার পার্টি (সিএমপি) একটি দুর্নীতিবিরোধী, উদারপন্থী, প্রগতিশীল, মধ্য-বামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন যারা পূর্ণ গণতন্ত্রের (Full Democracy) বাংলাদেশ প্রত্যাশী।
আমরা চেঞ্জ মেকার পার্টি (সিএমপি) আমরা কোন অর্থে বামপন্থী? আমরা ক্লাসিক্যাল অর্থে বামপন্থী। আমরা আধুনিক ধারার বামপন্থী নই। বামপন্থী ধারনাটির প্রবর্তন হয় তখন যখন ফ্রান্সের আইন সভায় বাম দিকে বসতো বামপন্থীরা যারা ছিলেন রাজতন্ত্র, স্বৈরশাসনের পুরনো সিস্টেমকে পরিবর্তন করে জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার পক্ষে এবং আইন সভার ডান দিকে বসতো ডানপন্থীরা যারা ছিলেন রাজতন্ত্র, স্বৈরশাসনের পুরনো সিস্টেমকে টিকিয়ে রাখার পক্ষে।
বামপন্থী আর ডানপন্থী বলতে আমরা কি বুঝি?
আমরা বামপন্থী এই অর্থে যে আমরা ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজির মাফিয়া সিস্টেমকে পরিবর্তনের পক্ষে, এবং আমরা আইনের শাসন ও জনগণের ক্ষমতায়নের পক্ষে, আমরা পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি বাতিলের পক্ষে, আমরা রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত – আমলা- মিলিটারি এই ত্রয়ী মাফিয়াশক্তির ঘুষ, দুর্নীতির বিপরীতে জনগণের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার নতুন সিস্টেমের পক্ষে। আমরা একটি স্বচ্ছ, উন্মুক্ত, গনতান্ত্রিক সিস্টেমের পক্ষে যেখানে রাজনীতিবিদ, সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রকে একটি জবাবদিহিতার মধ্যে আনা যাবে, যেখানে দুর্নীতি করা অসম্ভব হয়ে উঠবে।
আমাদের চোখে ডানপন্থী হচ্ছে তারা যারা পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি, রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত – আমলা- মিলিটারি এই ত্রয়ী মাফিয়াশক্তির পুরনো সিস্টেমকে টিকিয়ে রাখার পক্ষে, যারা ধর্ম এবং বিভিন্ন জাতীয় ইস্যু নিয়ে মেরুকরণের অপরাজনীতির পুরনো সিস্টেমকে টিকিয়ে রাখার পক্ষে।
সে হিসেবে শুধু জামাত বা বিএনপিই ডানপন্থী দল নয়, আওয়ামীলীগও একটি ডানপন্থী দল।
বামপন্থীরা পুরনো রাজনৈতিক সিস্টেমকে পরিবর্তনের পক্ষে আর ডানপন্থীরা পুরনো রাজনৈতিক সিস্টেমকে টিকিয়ে রাখার পক্ষে সেই যুক্তিতে আমরা বামপন্থী।
সে বিবেচনায় একজন নামাজি, ধর্মভীরু ব্যাক্তিও বামপন্থী হতে পারেন।
আমরা বামপন্থী মানেই যে আমরা কমিউনিস্ট, এলজিবিটি প্রো ভাবলে এটি একটি ভুল ধারণা হবে, তবে একজন বামপন্থী অবশ্যই ভিন্নমতে দমনের বিপক্ষে, ভিন্নমতে সহনশীলতা এবং পরমতসহিষ্ণুতা (Toleration) পক্ষে। আমরা দলমত নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের জীবন, নিরাপত্তা, ব্যাক্তি স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকারের পক্ষে। তারা সরকারের পক্ষে হোক বা সরকার বিরোধী হোক, বা ভিন্নমতাবলম্বী হোক আমরা সেটি বিবেচনায় রাখব না।
আমরা যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি সেক্ষেত্রে আমরা চেঞ্জ মেকার পার্টি (সিএমপি) বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এবং পূর্ণ মর্যাদার সাথে জীবন ধারনের গ্যারান্টি দিব, কারন সরকার হিসেবে এটিই আমাদের দায়িত্ব এবং এটি জনগণের ন্যায্য অধিকার। আমরা সোসাল ডেমোক্রেসির পক্ষে।
প্রগতিশীল কারা? আভিধানিকভাবে প্রগতি শব্দের অর্থ হচ্ছে উন্নতি বা পরিবর্তন। আর এই প্রগতি বা পরিবর্তনের কাজ যারা করে তাদেরকে আমরা প্রগতিশীল বলি। চেঞ্জ মেকার পার্টি (সিএমপি) যেহেতু জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে এবং দুর্নীতিগ্রস্থ মাফিয়া শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনে কাজ করার জন্য গঠন করা হয়েছে সেই বিবেচনায় সিএমপি একটি প্রগতিশীল দল।
৮ নং দফাঃ দলের আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কি?
আমার সংগঠন ছোট। কিন্তু আমরা সবাই ফ্রিম্যান। কারন আমরা একে অপরের গঠনমুলক সমালোচনা করি, ভুল ধরিয়ে দেই নির্ভয়ে যাতে করে দল জনগনের মন জয় করে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারে। যাদের সংগঠন বড় তারা দলদাস। তারা ফ্রিম্যান না।
আমাদের দলের প্রতিটি সদস্যদের ডিজিটাল নিবন্ধন থাকবে। প্রতিটি সদস্য নীতিনির্ধারণে ভুমিকা রাখতে পারবে।
আমাদের দলে একক কোন নেতা থাকবে না, কোন সভাপতি বা সেক্রেটারি থাকবেনা।
আমাদের একটি নীতি নির্ধারনী কমিটি থাকবে। কমিটি গঠন হবে সকল সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে।
কমিটি গঠিত হলে দলীয় সকল উদ্যোগ কমিটি প্রথমে প্রস্তাবনা আকারে উপস্থাপন করবে। সিদ্ধান্ত গ্রহন হবে সম্পূর্ণ গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়, কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত সিস্টেমে সকল সদস্যদের ডিজিটাল ভোটের মাধ্যমে। যদি প্রস্তাবনার পক্ষে “হা” ভোট বেশি পড়ে তাহলে সেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
স্বচ্ছতার স্বার্থে আমাদের সকল প্রস্তাবনা, দলীয় সিদ্ধান্ত জনগণের নিকট অনলাইনে দৃশ্যমান থাকবে।
প্রতিটি জেলা শহরে, উপজেলা সদরে দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ওয়ার্কিং কমিটি থাকবে।
৯ নং দফাঃ কাদের নিয়ে আমাদের দল গঠন হবে?
শুরুতেই যেটি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই- আমাদের পার্টিতে সব শ্রেনীর মানুষকে স্বাগত জানাই কিন্তু আমাদের পার্টি হবে সুশিক্ষিত মধ্যবিত্তের পার্টি যারা মেহনতি মানুষ, প্রান্তিক মানুষদের অধিকারের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকবে। আমাদের দল হবে বাংলাদেশের একমাত্র পার্টি যেটি বাংলাদেশের সভ্য, সহনশীল, মধ্যবিত্ত শ্রেনীর নেতৃত্বে চলবে। মধ্যবিত্তের মধ্যে যারা সুশিক্ষিত, দেশপ্রেমিক আমাদের পার্টি তাদের ক্ষমতায়নে বিশেষভাবে উদ্যোগ নিবে। আমরা আশাবাদী যে মধ্যবিত্ত সমাজের নেতৃত্বে ধনী-গরীব সব ধরনের মানুষই দেশকে পরিচালনা করার যোগ্যতা রাখে।
আমাদের দলে ২৫% কোটা সরাসরি ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। ছাত্ররা অঙ্গসংগঠন হিসেবে নয় বরং সরাসরি দলের নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারবে, তাদের সম্মানিত করা হবে। আমাদের কোন দলীয় লেজুড়বৃত্তির ছদ্মবেশী অঙ্গসংগঠন থাকবেনা (কারন এটি নির্বাচনী আইন পরিপন্থী, যেমন শিবির হচ্ছে জামাতের ছদ্মবেশী অঙ্গসংগঠন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হলো জাতীয় নাগরিক কমিটির ছাত্র সংগঠন বা ছদ্মবেশী অঙ্গসংগঠন), তবে দিনমজুর শ্রমিক থেকে উচ্চদক্ষতা সম্পন্ন পেশাজীবী শ্রেনী- সকল পেশাভিত্তিক মানুষকে, সকল জাতিগোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়ের মানুষকে সুষমভাবে এই দলে অন্তর্ভুক্তি করা হবে। অবাঙ্গালী কিন্তু বাংলাদেশি এমন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর (যেমন সাঁওতাল, চাকমা ইত্যাদি) জন্য বিশেষ কোটা থাকবে। নারী সদস্যদের মতামতকে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হবে।
আমাদের পার্টি তারুন্য আর অভিজ্ঞ সিনিয়র সিটিজেনের মিশেলে একটি বৈচিত্রময় দল হবে। আমরা মনে করি পঞ্চাশোর্ধ সিনিয়র সিটিজেনদের অভিজ্ঞতা আমাদের দলের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। পঞ্চাশোর্ধ প্রজ্ঞাবান সিনিয়র সিটিজেনদের আমাদের দলে সর্বোচ্চ সম্মানিত করা হবে। আপনাদের স্বাগতম আমাদের দলে।
১০ নং দফাঃ আমাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড কেমন হবে?
আমাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড অনন্যতা হবে অহিংস আন্দোলন, এবং আলোচনা এবং বিজ্ঞানসম্মত বিতর্কের মাধ্যমে রাজনৈতিক মতবিরোধ নিষ্পত্তিকরণ।
আমরা অহিংস, যুক্তিবাদী এবং অন্যায়ের প্রতিবাদী, কিন্তু ভিন্নমতে সহনশীল। আমরা কেউ ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত নই, আমরা ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং বাকস্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
আমরা রাজনীতিতে সামান্যতম সহিংসতা করব না, কারো শরীর স্পর্শ করব না। আমরা উন্নত গনতন্ত্রের ন্যায় অহিংস আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার গ্যারান্টি দিচ্ছি, সভ্য সমাজের ন্যায় রাজনীতিকে রাজপথের সহিংসতা থেকে সংসদে এবং আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার গ্যারান্টি দিচ্ছি। আমরা সরকারে গেলে বিরোধী দলের সকল নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিব, কাউকে গুমের শিকার হতে দিব না, কাউকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে দিব না, তাদের অধিকারের ক্ষেত্রে আন্তরিক থাকব ঠিক যেভাবে এদেশের সকল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায়, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক থাকব।
আমরা কোন “বড় দল” -এর সাথে জোট গঠন করে তাদের আজ্ঞাবহ হবনা, কারন আমরা নিজেরা বড় দল হতে চাই।
রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগ নিয়ে গঠিত বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া উত্তারঞ্চলে শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে চেঞ্জ মেকার পার্টি (সিএমপি) প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চেঞ্জ মেকার পার্টির প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকার বাহিরে উত্তরাঞ্চলের কোন বিভাগীয় শহরে। তিস্তা এবং পদ্মা নদীর বাঁধ অপসারণে আন্তর্জাতিক নদীর পানিবণ্টন নিয়ে জাতিসংঘের ওয়াটার কনভেশন আইনে বাংলাদেশ যেন স্বাক্ষর করে চেঞ্জ মেকার পার্টি সরকার গঠন করলে সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে ক্ষতিপূরণও দাবি করা হবে। বাংলাদেশ-ভারত ন্যায্যতার ভিত্তিতে পানি-বণ্টন নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সকল আন্তর্জাতিক আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। গঙ্গা চুক্তি কেবলমাত্র তখনই গ্রহণযোগ্য হবে যখন পদ্মা ও তিস্তায় পানি প্রত্যাহারের মতো বৈষম্যমূলক আচরণ থেকে ভারত বিরত থাকবে।
১১ নং দফাঃ আমরা কিভাবে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিব?
আমাদের দলে নমিনেশন বাণিজ্য শূন্য। প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হতে আপনার কোন পয়সা লাবেনা। আপনার একমাত্র যোগ্যতা হচ্ছে মেধা, সততা এবং দেশপ্রেম, দেশকে নিয়ে, আপনার সংসদীয় এলাকাকে নিয়ে আপনার স্বপ্ন কি, ভিসন কি, আপনি দেশকে নিয়ে কতটা ভাবেন, আপনার এলাকাকে কিভাবে গড়বেন, কিভাবে আপনার ভিসন বাস্তাবায়ন করবেন সেটির পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা এবং সকলের নিকট সেই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা এবং সেটি বাস্তবায়নে আপনি কতটুকু মরিয়া- সেটিই হবে আপনার যোগ্যতা। আপনার ওয়াদা/ নির্বাচনী ইশতেহার পূরনের গ্যারান্টিই হবে কেবল আপনার নমিনেশন পাবার একমাত্র রাস্তা। আমাদের দলের সকল সদস্যবৃন্দ যদি মনে করেন আপনার সেই যোগ্যতা আছে তাহলে ডিজিটাল ভোটের মাধ্যমে আমাদের সদস্যরা আপনাকে মনোনীত করবে। কারো ইশারায় বা কোন বিশেষ ব্যাক্তির অঙ্গুলিহেলন আপনার নমিনেশনকে প্রভাবিত করতে পারবেনা।
আমরা আমাদের দেশে ১২ কোটি ৪০ লক্ষ ভোটারের কাছে যাব। ৩০০ আসনে আমরা প্রার্থী দিব। আমাদের প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকার ভোটারের কাছে যাবেন। প্রত্যেক ভোটারের সাথে কথা বলবেন। কারো যদি কোন সমস্যা থাকে সেটি আমাদের প্রার্থী ল্যাপটপে নোট ডাউন করবেন। কোন ভোটারের সমস্যা না থাকলে তার কাছে তার যে কোন একটি ব্যাক্তিগত ইচ্ছার (গোষ্ঠীগত বা জাতীয় নয়) কথা জানতে চাওয়া হবে যেটি ভোটে জয়লাভ করলে আমরা পূরণ করব। প্রত্যেক ভোটারের সমস্যা সমাধানে এবং ব্যাক্তিগত ইচ্ছা পূরণে ভোটারকে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দেয়া হবে। প্রতিশ্রুতির প্রমান হিসেবে রশিদ দেয়া হবে। নির্বাচনে জয়লাভ করার পরে কতদিনের মধ্যে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হবে তার একটি সম্ভাব্য তারিখ প্রতিটি প্রতিশ্রুতির রশিদে উল্লেখ করা থাকবে। লিখিত রশিদের একটি রিসিভ কপি ভোটারের নিকট থাকবে। আরেকটি কপি থাকবে আমাদের প্রার্থীর কাছে বা প্রার্থীর প্রতিনিধির নিকট থাকবে।
একটি বিশেষ অনলাইন ডাটাবেজে প্রত্যেকটি প্রতিশ্রুতি এন্ট্রি করা থাকবে যেটি ভোটারের নিকট দৃশ্যমান থাকবে (যদি তিনি গোপনীয়তা বজায় রাখতে চান) অথবা ভোটারের অনুমতি সাপেক্ষে পাবলিকের নিকট ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত থাকবে।
শতভাগ প্রতিশ্রুতি পূরণের গ্যারান্টি দিব আমরা। সে ক্ষেত্রে সরকার গঠন করার পর অথবা এমপি প্রার্থী হিসাবে বিজয়ী হওয়ার পর যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল প্রতিশ্রতির মধ্যে একটি প্রতিশ্রুতিও আমাদের এমপি পূরণ করতে না পারেন তাহলে উনি পদত্যাগ করবেন।
আমরা লিখিত গ্যারান্টি সহকারে নির্বাচন করব। যদি সরকার গঠন করতে পারি প্রত্যেকটি প্রতিশ্রুতি, প্রত্যেকটি সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি আমরা পালন করব। না করতে পারি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অথবা সংশ্লিষ্ট এলাকার এমপিকে পদত্যাগ করতে হবে এই শর্তে আমরা এমপি অথবা মন্ত্রী প্রার্থীদের নমিনেশন দেব।
১২ নং দফাঃ কারা আমাদের টার্গেট ভোটার?
আমাদের প্রেসিডেন্ট/সংসদ প্রার্থীগণ হবেন সূর্যের মতো। সূর্যের সাথে আপনি যতই শত্রুতা করেন, যতই তাকে গালি দেন, সমালোচনা করেন সূর্য আলো দিয়েই যাবে। আপনার জন্য তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সে পালন করবেই। ঠিক আর সবার জন্য যেভাবে সে করে।
আমাদের প্রেসিডেন্ট/প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী যিনি হবেন তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রেসিডেন্ট হবার পরে কেউ যদি তার কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করে আসেন তিনি তো কাউকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন না। কারন তিনি প্রতিশ্রুতিদ্ধ। এখন গোলাম আজমের ছেলে যদি ন্যায়বিচারের জন্য আসেন তিনি কি তাকে ফিরিয়ে দিবেন? আর যদি তসলিমা নাসরিন আসে? কাউকেই আমরা ফিরিয়ে দিতে পারিনা। কারন আমাদের প্রার্থী যখন সত্যিই প্রেসিডেন্ট/ প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবেন তখন তো তিনি সবার জন্যই হবেন। কোন রাজনৈতিক দলের জন্য না। আমাদের প্রেসিডেন্টের পেশাদারিত্ব নৈতিক মানদণ্ডটি ঠিক এই মানেরই হবে।
তাই আমরা এদেশের সকলের কাছে ভোট চাওয়ার অধিকার রাখি। বাংলাদেশের মুসলমানদের কাছে, বাংলাদেশের হিন্দুদের কাছে, সকলের কাছে আমরা ভোট চাইতে পারি। কারন নির্বাচনে জয়লাভের পর যখন সার্ভিস দেয়ার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হবো তখন তো সবাইকেই আমরা একইভাবে সার্ভিস দিয়ে যাব। তাহলে সবার কাছে ভোট কেন চাইব না?
আপনি যদি মনে করেন আপনি এমন একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে চান যার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সবার প্রেসিডেন্ট হবার নিশ্চয়তা দিচ্ছে, যে দল হবে সবার দল তবেই আমাদের দলে যোগদান করুন।
১৩ নং দফাঃ চাদা এবং ডোনেশন প্রদানে সচ্ছতার এবংজবাবদিহিতার ক্ষেত্রে আমাদের দলীয় নীতি কি?
আমাদের সংগঠনে যদি কোন অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ লাভ হয় (যেমন ক্রাউডফান্ডিং এর ক্ষেত্রে) প্রতিটি ট্রানজেকশনের তথ্য অর্থের পরিমানসহ ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত থাকবে। অর্থদাতা যাচাই করে নিবেন তার অনুদান সঠিক আছে কিনা। দলের প্রচারণার প্রয়োজনে ব্যয়িত প্রতিটি খরচের ট্রানজেকশন বিবরনসহ প্রকাশ করা হবে। আরো অধিকতর স্বচ্ছতার জন্য সাধারণ জনগণের মধ্যে যে কেউ চাইলে সারপ্রাইজ অডিট (আকস্মিক পরিদর্শন) করতে পারবেন, অনিয়ম দুর্নীতি ধরিয়ে দিলে দল আরো পরিশুদ্ধ হবে।
We believe in “Open Financials”.
We Publish real-time donation records and budgets on our website showing exactly where the money goes. Fundraising through small donations and crowdfunding can sustain the campaign while maintaining transparency.
We conduct public “Transparency Audit” of our party and live-stream our internal meetings to demonstrate accountability.
আপনি যদি ১৩ টি দফায় উল্লেখিত প্রতিটি বাক্যের সাথে একমত পোষণ করেন তবেই যোগদান করুন আমাদের দলে।
আমরা কিভাবে নির্বাচনে প্রচারণা করব?
আমরা ইতিহাসের বৃহত্তম জনসংযোগ করব। বাংলাদেশের ১২ কোটি ৪০ লক্ষ ভোটারের কাছে যাব। ৩০০ আসনে আমরা প্রার্থী দিব। আমাদের প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকার ভোটারের কাছে যাবেন। প্রত্যেক ভোটারের সাথে কথা বলবেন। কারো যদি কোন সমস্যা থাকে সেটি আমাদের প্রার্থী ল্যাপটপে নোট ডাউন করবেন। কোন ভোটারের সমস্যা না থাকলে তার কাছে তার যে কোন একটি ব্যাক্তিগত ইচ্ছার কথা (গোষ্ঠীগত বা জাতীয় নয়) জানতে চাওয়া হবে যেটি ভোটে জয়লাভ করলে আমরা পূরণ করব। প্রত্যেক ভোটারের সমস্যা সমাধানে এবং ব্যাক্তিগত ইচ্ছা পূরণে ভোটারকে লিখিতভাবে প্রতিশ্রুতি দেয়া হবে। প্রতিশ্রুতির প্রমান হিসেবে রশিদ দেয়া হবে।
নির্বাচনে জয়লাভ করার পরে কতদিনের মধ্যে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হবে তার একটি সম্ভাব্য তারিখ প্রতিটি প্রতিশ্রুতির রশিদে উল্লেখ করা থাকবে। লিখিত রশিদের একটি রিসিভ কপি ভোটারের নিকট থাকবে। আরেকটি কপি থাকবে আমাদের প্রার্থীর কাছে বা প্রার্থীর প্রতিনিধির নিকট থাকবে।
একটি বিশেষ অনলাইন ডাটাবেজে প্রত্যেকটি প্রতিশ্রুতি এন্ট্রি করা থাকবে যেটি শুধু ভোটারের নিকট দৃশ্যমান থাকবে (যদি তিনি গোপনীয়তা বজায় রাখতে চান) অথবা ভোটারের অনুমতি সাপেক্ষে পাবলিকের নিকট ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত থাকবে।
শতভাগ প্রতিশ্রুতি পূরণের গ্যারান্টি দিব আমরা। সে ক্ষেত্রে সরকার গঠন করার পর অথবা এমপি প্রার্থী হিসাবে বিজয়ী হওয়ার পর যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল প্রতিশ্রুতি মধ্যে যদি শুধুমাত্র একটি প্রতিশ্রুতিও আমাদের এমপি পূরণ করতে না পারেন তাহলেও উনি পদত্যাগ করবেন।
আমরা লিখিত গ্যারান্টি সহকারে নির্বাচন করব। যদি সরকার গঠন করতে পারি প্রত্যেকটি প্রতিশ্রুতি, প্রত্যেকটি সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি আমরা পালন করব। যদি না করতে পারি তাহলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অথবা সংশ্লিষ্ট এলাকার এমপিকে পদত্যাগ করতে হবে এই শর্তে আমরা এমপি অথবা মন্ত্রী প্রার্থীদের নমিনেশন দেব।
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের মধ্য-বামপন্থী, দুর্নীতিবিরোধী ও মানবসেবায় আত্মোৎসর্গকারীদের একত্রীত করার মহান উদ্দেশ্যে গঠিত দল চেঞ্জ মেকার পার্টি (সিএমপি) দেশসেবার সৎ নিয়তের রাজনীতি করতে চায়। আমাদের দলের দায়িত্বশীল পদে আসতে চাইলে, দলের পক্ষে সক্রিয় রাজনীতির ব্যাপারে আগ্রহী হলে ইমেইল করে জানাবেন প্লিজ।
চেঞ্জ মেকার পার্টি (সিএমপি), বাংলাদেশ।
join@cmpbd.org
Empower Full Democracy

দলে যোগদান করতে আমাদের প্রথমে ইমেইল করবেনঃ নাম, জেলা, এবং পেশা এবং অরিজিনাল ফেসবুক প্রোফাইলের লিংক উল্লেখ করবেন, এনআইডি কার্ডের ফ্রন্টসাইডের ছবি ইমেইলের সাথে এটাচ করবেন। join@cmpbd.org

এনআইডি কার্ডের ছবি কেন চাচ্ছি? কারন আমাদের দলে যেন অন্য কোন দলের গুপ্তচর না ঢুকতে পারে সেজন্য আপনার জেনুইন ফেসবুক প্রোফাইল এবং এনআইডি কার্ডের ফ্রন্টসাইডের ছবি ইমেইলের সাথে দিলে আমরা নিশ্চিন্ত থাকব।

এরপর আমরা আপনার ইমেইলে এবং ফেসবুকে কথা বলব। আমাদের আদর্শিক অবস্থান আপনার কাছে পরিষ্কার হলে আপনি দলে জয়েন করবেন।
We believe in Open Financials.
We want to reach our 12 crore Bangladeshi voters. We need your financial and voluntary support. We Publish real-time donation records and budgets on our website showing exactly where the money goes. Fundraising through small donations and crowdfunding can sustain the campaign while maintaining transparency.